কোভিড-পরবর্তী হরর সিনেমার জনপ্রিয়তার শীর্ষে, ঢাকায় একসঙ্গে মুক্তি পেল মার্কিন ‘ওয়েপনস’ ও তুর্কি ‘সিক

ঢাকায় একসঙ্গে মুক্তি পেল মার্কিন ‘ওয়েপনস’ ও তুর্কি ‘সিকিন ৮

একসময় অবহেলিত ঘরানা হলেও এখন হলিউডে হরর সিনেমার বাজার তুঙ্গে। মার্কিন সংস্থা কমস্কোরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে উত্তর আমেরিকার মোট টিকিট বিক্রির ১৭ শতাংশই এসেছে হরর ছবির মাধ্যমে, যেখানে ২০১৫ সালে এ হার ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-পরবর্তী মানসিক চাপ, প্রযুক্তি-ভীতি এবং সামাজিক বৈষম্যসহ নানা কারণে হরর ঘরানা নতুন এক বাস্তবতা পেয়েছে।

এই জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় ঢাকায় আজ, ৮ আগস্ট, একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে দুই ভিন্ন দেশের দুটি হরর সিনেমা—মার্কিন ‘ওয়েপনস’ ও তুর্কি ‘সিকিন ৮’। সিনেমা দুটি চলছে স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাসসহ একাধিক প্রেক্ষাগৃহে।

ওয়েপনস: রাত ২টা ১৭ মিনিটের রহস্য
জ্যাক ক্রেগার পরিচালিত ‘ওয়েপনস’-এর কাহিনি ঘোরে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট্ট শহর মেব্রুকে ঘিরে। এক রাতে স্থানীয় একটি স্কুলের ১৭ শিশু ঠিক রাত ২টা ১৭ মিনিটে হঠাৎ বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। তাদের মধ্যে ফিরে আসে কেবল একজন—অ্যালেক্স লিলি। এরপর শুরু হয় রহস্য ও আতঙ্কের স্তরে স্তরে উন্মোচন। ছয় অধ্যায়ে বলা গল্পে প্রতিটি অধ্যায় ফোকাস করে আলাদা চরিত্রের চোখ দিয়ে, যা culminates হয় এক ধ্বংসাত্মক ক্লাইম্যাক্সে। অভিনয়ে রয়েছেন যশ ব্রুলিন, জুলিয়া গার্নার, ক্যারি ক্রিস্টোফার, অস্টিন আব্রামস ও অ্যামি ম্যাডিগান। ইতিমধ্যেই আইএমডিবি ও রোটেন টমেটোসে সিনেমাটি প্রশংসা কুড়িয়েছে।

সিকিন ৮: মায়ের ফিরে আসা মানেই কি স্বস্তি?
তুর্কি হরর সিরিজ ‘সিকিন’-এর অষ্টম কিস্তি পরিচালনা করেছেন অ্যালপার মেস্তকি। গল্পে দেখা যায়, ফাতিহ নামের এক ব্যক্তি স্ত্রীর চাপে বৃদ্ধা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠান। এর পরপরই শুরু হয় অজানা শব্দ, ছায়া ও অদ্ভুত উপস্থিতির আনাগোনা। পরে মাকে ঘরে ফিরিয়ে আনা হলেও তিনি আর আগের মতো থাকেন না—তার মধ্যে প্রবেশ করেছে অন্য কেউ, নাকি অন্য কিছু? এই প্রশ্নের জবাবই টানটান উত্তেজনায় ধরে রাখে দর্শককে। অভিনয়ে রয়েছেন সেরকান কুরত, দেরিয়া ইয়ালচিন ও ওজগে গোরেল।


Comment As:

Comment (0)