
একাত্তর ও চব্বিশের আন্দোলনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত
একাত্তর ও চব্বিশকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
একাত্তর ও চব্বিশের গণআন্দোলনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক বিভাজনের অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি মনে করে, এ ধরনের অপচেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অবস্থান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৪৭ সালে ভূখণ্ড অর্জন, ১৯৭১-এ স্বাধীনতা, এবং ২৪ জানুয়ারির গণঅভ্যুত্থান—এই তিনটি ঘটনা কোনোভাবেই পরস্পরবিরোধী নয়, বরং একই ধারাবাহিকতায় এই ভূখণ্ডের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস গড়ে উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই আন্দোলনগুলোকে সমভাবে সম্মান করে এবং তাদের প্রত্যেক সহযোগীকে আত্মিকভাবে ধারণ করে।
সংগঠনটি আরও জানায়, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ছিল মুজিববাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সুস্পষ্ট বিক্ষোভ। অথচ বর্তমানে কিছু গোষ্ঠী শাপলা চত্বর ও শাহবাগের বাইনারির মতো বিভাজন তৈরি করে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করার সুযোগ তৈরি করতে চাইছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ধরনের অপরাজনীতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জাতীয় স্বার্থ ও জনকল্যাণের পক্ষে রাজনীতির আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কেউ যদি এ ধরনের অপকৌশলের মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চালায়, তাহলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তারা সক্রিয়ভাবে এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে।