
জুলাই গণ‑অভ্যুত্থান দিবসে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম দিয়ে ঘোষণার সূচনা হওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জাতির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বছর আগে স্বাধীনতার ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা হিসেবে ‘জুলাই গণ‑অভ্যুত্থান’ ঘোষণা করেন। ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ নিবির্পভাবে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে বলে স্মরণ করেন তিনি।
তিনি ঢেলে সাজাতে চান রাষ্ট্রব্যবস্থা—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। রাষ্ট্রীয় “জুলাই ঘোষণাপত্র”ণ এবং “জুলাই সনদ”‑এর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে ১৬০+ রাজনৈতিক দলসহ আলোচনায় চূড়ান্ত হয়েছে ১৯টি মৌলিক সংস্কারের বিষয়—যা গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রণয়ন করবে।
অর্থনীতিতে গতিশীলতা ফিরে এসেছে—মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে, প্রবাসী রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ছে, বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিত হচ্ছে। দরিদ্র ও খেতে শেখানো শিশুসহ নির্দিষ্ট দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আহত ও পরিবারকে সহায়তা ও চিকিৎসার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন পাঠানো হবে, এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য। ভোটকে উৎসবমুখর করতে প্রযুক্তি‑ভিত্তিক আয়োজন, নারী ও প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা—নামের পুনঃস্থাপন, শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার, পুলিশ‑বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংস্কারের মাধ্যমে সামাজিক ও নাগরিক অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সংক্ষেপে, ভাষণটি বর্ণনা করে যে:
-
জনতা ও তরুণদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ
-
সার্বভৌমতা ও স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্য—স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দুর্নীতি মোকাবিলা
-
স্ট্রাটেজিক পরিকল্পনা—জুলাই ঘোষণাপত্র, সনদ ও নির্বাচনী রূপরেখা
-
অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ
-
প্রতিবাদ ও আন্দোলনের স্মৃতি থেকে ভবিষ্যৎ নির্মাণ
সারাংশসূচক টেবিল (বিশেষ দৃষ্টান্ত)
বিষয় | মূল বক্তব্য |
---|---|
জুলাই গণ‑অভ্যুত্থান | ছাত্র-শ্রমিক জনতা ও নারীদের নেতৃত্বে স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক প্রতিবাদ |
সংস্কার ও সনদ | ১৯টি মৌলিক সংস্কার চিহ্নিত, বহু রাজনৈতিক দল নিয়ে ঐকমত্য ভিত্তিক ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত |
নির্বাচন ঘোষণা | প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি, রমজান পূর্বে নির্বাচন ও নির্বাচনী আয়োজন শুরু |
অর্থনীতি ও রেমিট্যান্স | মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ তুলনায় দ্বিগুণ, ব্যাংকিং রেকর্ড রেমিট্যান্স |
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সংস্কার | শিক্ষক গ্রেড উন্নয়ন, ই‑লার্নিং, নারী‑সমর্থক অবকাঠামো |
আইন-শৃঙ্খলা সংস্কার | পুলিশ ও বিচার বিভাগে মানবাধিকার ভিত্তিক বিন্যাস, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল |